এই যে নদী
নদীর জোয়ার
নৌকা সারে সারে,
একলা বসে আপন মনে
বসে নদীর ধারে-
এই ছবিটি চেনা।
মনের মধ্যে যখন খুশি
এই ছবিটি আঁকি,
এক পাশে তার জারুল গাছে-
দুটি হলুদ পাখি এমনি পাওয়া এই ছবিটি
কড়িতে নয় কেনা।
মাঠের পরে মাঠ চলেছে
নেই যেন এর শেষ
নানা কাজের মানুষগুলাে
আছে নানান বেশ।
মাঠের মানুষ যায় মাঠে আর
হাটের মানুষ হাটে।
দেখে দেখে একটি ছেলের
সারাটি দিন কাটে।
এই ছেলেটির মুখ
সারাদেশের সব ছেলেদের
মুখেতে টুকটুক।
কে তুমি ভাই,
প্রশ্ন করি যখন
‘ভালােবাসার শিল্পী আমি’
বলবে হেসে তখন।
এই যে ছবি এমন আঁকা
ছবির মতাে দেশ,
দেশের মাটি দেশের মানুষ
নানা রকম বেশ,
বাড়ি বাগান পাখপাখালি
সব মিলে এক ছবি,
নেই তুলি নেই রঙ, তবুও
আঁকতে পারি সবই।
কবিতাটির মূলভাব জেনে নিই।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, অর্থাৎ এদেশে সবখানেই নদী দেখা যায়।‘স্বদেশ’ কবিতায় বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ছবি তুলে ধরা হয়েছে। একটি ছেলে সেই ছবি দেখছে ও তার মনের ভিতরে ধরে রাখছে। নদীর জোয়ার, নদীর তীরে নৌকা বেঁধে রাখা, গাছে গাছে পাখির কলকাকলি – সবই ছেলেটির মনে নিজের দেশের জন্য মায়া-মমতা ও ভালােবাসার অনুভূতি জোগাচ্ছে।
নিচের প্রশ্নগুলাের উত্তর বলি ও লিখি।
ক, গ্রাম বাংলার কোন ছবিটি আমাদের চেনা?
খ. কোন ছবিটি টাকা দিয়ে কেনা যায় না?
গ. স্বদেশ কবিতায় কী দেখে ছেলেটির দিন কেটে যায়?
ঘ. ‘সব মিলে এক ছবি’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
কবি-পরিচিতি কবি আহসান হাবীব ২রা ফেব্রুয়ারি ১৯১৭ সালে পিরােজপুর জেলার শঙ্করপাশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিশু-কিশােরদের জন্য তিনি প্রচুর ছড়া ও কবিতা লিখেছেন। তাঁর কবিতার ছন্দ ও শব্দ সহজেই মন কাড়ে। তিনি ছিলেন পেশায় সাংবাদিক। তিনি দীর্ঘদিন নানা পত্রিকার সাহিত্যের পাতার সম্পাদকের দায়িত্ব। পালন করেছেন। বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ ও ‘ছুটির দিন দুপুরে তাঁর শিশুতােষ কাব্যগ্রন্থ। ১০ই জুলাই ১৯৮৫ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
কবি-পরিচিতি কবি আহসান হাবীব ২রা ফেব্রুয়ারি ১৯১৭ সালে পিরােজপুর জেলার শঙ্করপাশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিশু-কিশােরদের জন্য তিনি প্রচুর ছড়া ও কবিতা লিখেছেন। তাঁর কবিতার ছন্দ ও শব্দ সহজেই মন কাড়ে। তিনি ছিলেন পেশায় সাংবাদিক। তিনি দীর্ঘদিন নানা পত্রিকার সাহিত্যের পাতার সম্পাদকের দায়িত্ব। পালন করেছেন। বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ ও ‘ছুটির দিন দুপুরে তাঁর শিশুতােষ কাব্যগ্রন্থ। ১০ই জুলাই ১৯৮৫ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
0 Comments