পাঠ ৩
কালিমা শাহাদাত
উচ্চারণ : আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনাে ইলাহ নেই। তিনি একক, তার কোনাে শরিক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মদ (স) তাঁর (আল্লাহর বান্দা ও রাসুল। তাৎপর্য কালিমা শাহাদাত হলাে- সাক্ষ্য দানের বাক্য। অর্থাৎ এ কালিমা দ্বারা ইমানের সাক্ষ্য দেওয়া হয়। আমরা এ কালিমা উচ্চারণের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদ ও মুহাম্মদ (স)-এর রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান করি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাদের রব। তিনি আমাদের রিজিক দেন, প্রতিপালন করেন, সুস্থতা দান করেন। তিনি আমাদের নানারূপ নিয়ামত দান করেন। আলাে, বাতাস, পানি, খাদ্য, সবকিছুই তাঁর দান। সুতরাং আমাদের উচিত তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। অপরদিকে হযরত মুহাম্মদ (স) আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত নবি ও রাসুল। তিনিই আমাদের নিকট আল্লাহ পাকের পরিচয় তুলে ধরেছেন। সত্য-মিথ্যার পার্থক্য শিখিয়েছেন। জান্নাতে যাওয়ার দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। সুতরাং সকল কাজে তাঁর আনুগত্য করা এবং তাঁর প্রতি ভালােবাসা প্রকাশ করাও অত্যাবশ্যক।
কালিমা শাহাদাতের মাধ্যমে আমরা এ দুটো কাজই করতে পারি। তাছাড়াও মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও হযরত মুহাম্মদ (স)-এর প্রতি আমাদের বিশ্বাসের প্রমাণ দিতে পারি।
কালিমা তায়্যিবার ন্যায় কালিমা শাহাদাতও দুটি অংশে বিভক্ত। যথা -
প্রথম অংশ : (আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু)
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনাে ইলাহ নেই। তিনি একক, তাঁর কোনাে শরিক নেই।
এ কথার দ্বারা তাওহিদ বা একত্ববাদের সাক্ষ্য দেওয়া হয়। অর্থাৎ আমরা এর দ্বারা সাক্ষ্য দেই যে, মহান আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে একক। তাঁর কোনাে শরিক বা সমতুল্য নেই। ইবাদতের ক্ষেত্রে আমরা কাউকে তাঁর শরিক করি না।
দ্বিতীয় অংশ : আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু)
অর্থ : আমি আরও সাক্ষ্য দেই যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মদ (স) তাঁর বান্দা ও রাসুল।
কালিমার এ অংশ দ্বারা মুহাম্মদ (স.)-এর রিসালাতের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অর্থাৎ আমরা স্বীকার করি যে, হযরত মুহাম্মদ (স) আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত নবি ও রাসুল। তিনি নিজে আল্লাহ নন কিংবা আল্লাহর অংশও নন। বরং তিনি হলেন আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা। তিনিও আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করতেন।
তবে তাঁর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলাে তিনি আল্লাহ তায়ালার মনােনীত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি ও রাসুল । তিনি আল্লাহ তায়ালার বাণী আমাদের নিকট পৌঁছিয়েছেন।
কালিমা শাহাদাত ইমানের অন্যতম প্রধান বাক্য। এর দ্বারা মানুষ নিজ ইমানের প্রকাশ ঘটিয়ে থাকে। সুতরাং আমরা শুদ্ধভাবে এ কালিমা পড়ব এবং এর মর্মার্থ অনুসারে আমল করব।
কাজ : শিক্ষার্থীরা একে অপরকে কালিমা শাহাদাত অর্থসহ মুখস্থ শশানাবে।
0 Comments